নিউজ

***জরুরি সংবাদ :বঙ্গভবনের পথে হামিদ   ❖ কাজীপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা   ❖ খালেদা মাইনাস, এখন আওয়ামী লীগকেও মাইনাসের চেষ্টা   ❖ কাল থেকে বিএনপির ফের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল   ❖ মাটির তৈরি শৌখিন তৈজস, রফতানি হচ্ছে বিদেশে   ❖ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়নের রোল মডেল   ❖ শিক্ষিকার ছবি অশ্লীলভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে চাকরিচ্যুতি!   ❖ বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট আসছে, আকার হবে দু’লাখ কোটির বেশি   ❖ যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত তিন জামায়াত নেতা   ❖ হেফাজতের দাবি আর ভোট রাজনীতির হিসাব-নিকাশ   ❖ ঘন ঘন হরতালে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে না   ❖ শাহবাগে গণজাগরণ ও মহাখালীতে নির্মূল কমিটি মঞ্চে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা   ❖ ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ॥ আটক অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল চীনে তৈরি ॥ ব্রি. জে. হাসান   ❖ চার ঘণ্টা সংঘর্ষ ॥ নাটোরে আ’লীগের সমাবেশে বিএনপি জামায়াতের হামলা আহত ৩০   ❖ সাঁতারে প্রথমদিনেই তিনটি নতুন রেকর্ড   ❖ শেখ জামালের ঘাম ঝরানো জয়   ❖ হাটহাজারীতে অস্ত্রসহ ৩ ছিনতাইকারী আটক   ❖ ডিএসইতে আড়াই মাসে সর্বনিম্ন লেনদেন   ❖ তহবিল সঙ্কটে পিছিয়ে গেল সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল  

   « »

Saturday, April 13, 2013

চৈত্র সংক্রান্তি, বিদায় ১৪১৯


চৈত্র সংক্রান্তি, বিদায় ১৪১৯


11


চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলা সনের শেষ দিন। শেষ দিন ঋতুরাজ বসন্তেরও। বাংলা বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের শেষ এ দিনটিকে চৈত্র সংক্রান্তি বলা হয়।
৩০ চৈত্র শনিবার মহাকালের বুকে ঠাই নিচ্ছে ১৪১৯। ১৪২০ বঙ্গাব্দের শুরু হবে রোববার। বৈশাখ বন্দনায় মেতে উঠবে বাঙালি।
চৈত্র মাসের শেষ দিনটিতে ফেলে আসা বছরের হিসাবের খাতাকে লোকাচার-পার্বণে বিদায় জানানো হবে। নতুন উদ্যমে, মঙ্গল প্রত্যাশায়, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হবে।
চৈত্র সংক্রান্তি বিশেষ লোক উৎসব। প্রধানত হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব হলেও অসাম্প্রদায়িক বাঙালির কাছে এক বৃহত্তর লোক উৎসবে পরিণত হয়েছে দিনটি।
নানা আচার-অনুষ্ঠান আর হালখাতার প্রস্তুতি নেওয়ার দিনও শনিবার।
সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে আরও একটি বছর। বাঙালি বরণ করে নেবে বাংলা নববর্ষকে। সে সঙ্গে মূল্যায়ন হবে বিগত বছরের সাফল্য-ব্যর্থতা। চৈত্র সংক্রান্তি বাংলার লোক সংস্কৃতির এমন এক অনুষঙ্গ, যা সর্বজনীন উৎসবের আমেজে বর্ণিল।
বছরের শেষ দিনে যেমন নানা আয়োজনে বর্ষকে বিদায় জানানো হয় তেমনি চৈত্রের শেষ দিনে বৈশাখ বন্দনায় মেতে ওঠে বাঙালি।
‘নব আনন্দ বাজুক প্রাণে’- এ মঙ্গল কামনার মাধ্যমে বিগত বছরের গ্লানি মুছে ফেলতে আবহমান বাঙালি মেতে উঠছে চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবে।
শনিবার সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ১৪১৯ বঙ্গাব্দের সাফল্য-ব্যর্থতা, সুখ-দুঃখ, হতাশা ও ক্লান্তি হারিয়ে যাবে মহাকালের বুকে। নতুন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে যাত্রা করবে নতুন বঙ্গাব্দ ১৪২০। সনাতন ধর্মমতে, বছর ঘুরতে ঘুরতে সূর্য তার আলোক আর তেজঃশক্তিকে নিঃশেষ করে আলোকশূন্য হয়ে পড়তে পারে। সূর্যের তাপই শস্যের ফলনে সাহায্য করে, বারিপাত আনে, সুফলা হয় ধরা। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে তাই উদ্বিগ্ন কৃষকরা বাঁচার তাগিদে বর্ষার আগমনের দ্রুততা কামনা করেন। নানা মাত্রিক উৎসবের মাধ্যমে সূর্যের কৃপা প্রার্থনা করেন তারা।
এখন সূর্য তার রুদ্ররূপে প্রতিভাত। তাই চৈত্র সংক্রান্তিতে নানা উপাচারের নৈবেদ্য দিয়ে তাকে তুষ্ট করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
বাংলা মাসের শেষ দিনে শাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকেও সনাতন ধর্ম মতে পূণ্যের কাজ বলা মনে করা হয়।
চৈত্র সংক্রান্তিতে দেশের নানা স্থানে হবে মেলা, উৎসব। রাজধানীতেও কয়েক বছর ধরে এ উৎসব ব্যাপকতা লাভ করেছে। কয়েকটি সংগঠন দিবসটি নানা আয়োজনে পালন করবে।

No comments:

Post a Comment